তাকওয়া ও ইত্তেবায়ে সুন্নতকে জীবনের লক্ষ্য বানাও। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আল্লাহপ্রাপ্তিকে জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বানাও। মহান এ উদ্দেশ্য সাধনের একমাত্র পথ ইত্তেবায়ে-শরীয়তকে আঁকড়ে ধরো। হালাল খেয়ে আল্লাহকে ডাকো, আল্লাহর সাথে থাকো।
শোকর করো, ছবর করো, যিকির করো, তেলাওয়াত করো। দোআয় মশগুল হও। নিজ শায়খের দ্বারা নির্বাচিত আকাবিরে-ধীন, বুযুর্গানেদ্বীনের কিতাবাদি পড়তে থাকো। এভাবে নূর-ভরা জিন্দেগী নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকো।
এভাবে আখেরাতের জন্য তৈরি থাকো। বাড়তি কোনো পেরেশানিতে না জড়াও । অনিচ্ছাকৃত পেরেশানি আসলে ছবর করো, দোআ করো। সেক্ষেত্রে শরীআতের যা বিধান, সেই মোতাবেক চলো। পৃথিবীটাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির চশমা দিয়ে দেখো।
অনর্থক হায়-হুতাশ না করে যা করণীয় তাই করো, যা বর্জনীয় তা ছাড়ো। স্বীয় ক্ষমতা-বহির্ভূত সব বিষয় আল্লাহর হাতে ন্যস্ত করো। আল্লাহর ফয়সালায় রাজী-খুশী ও সমর্পিত থাকো।
অলসতাকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ফরয-ওয়াজিবগুলো ঠিকমতো পালন করো। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো শুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা-মোজাহাদা দিবারাত অব্যাহত রাখ। মন যখন ক্রোধ, অন্যায় কিংবা কোন গুনাহের প্রতি ঝোঁকে, মনের এ হারাম চাহিদার বিরোধিতা করে মহান আল্লাহর চাহিদা ও মর্জি পূরণের পথে অবিচল থাকো।
কোন গুনাহ হয়ে গেলে কাল বিলম্ব না করে জলদি তওবা করে, মাফ চেয়ে নিয়ে পাক-সাফ হয়ে যাও। কারোর হক নষ্ট না করো, কারোর উপর জুলুম না করো।
তোমার দ্বারা অন্যায় ভাবে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ চেয়ে নিয়ে অথবা তাকে খুশী করে দিয়ে আখেরাতের হিসাব-দিবসকে নিষ্কণ্টক রাখো। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তওফীক দান করুন। তাঁর সন্তুষ্টির পথ চলা আমাদের সকলের জন্য সহজ করুন।